শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮

https://amirulislaminfo.wordpress.com/2018/04/07/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f/

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

জমিজমা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশ ১৯/০৮/২০১৭
https://amirulislaminfo.wordpress.com/2017/07/29/%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%ad/


বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৭

জমি নিয়ে বিরোধ হলে কী করবেন ।

জমি জমাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় বিরোধ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের কেনা জমি অন্য কেউ দখল করে মালিকানা দাবি করছে কিংবা জাল দলিল তৈরি করে জমির দখল নিতে চায়। আদালতে মিথ্যা মামলাও ঠুকে দেয়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এ ঝামেলা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে জন্য জানা থাকতে হবে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে কীভাবে প্রতিকার পাবেন।
ফৌজদারি প্রতিকার জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে বেদখল হয়ে গেলে কিংবা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে। কোনো মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি পক্ষের ওপর সমন জারি করবেন। পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদার কে তা নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন পুলিশকে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত দখলদার কে, সে বিষয়ে রায় দেবেন। তবে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
মালিকানা দাবি করবেন যেভাবে জমির মালিকানা বা স্বত্ব দাবির জন্য দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। জমি অবৈধভাবে দখলচ্যুত হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পেতে পারেন। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী জমির মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমিটি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে এ ধারা অনুযায়ী, দখলচ্যুত ব্যক্তিকে জমিতে তাঁর স্বত্ত্ব বা মালিকানা আছে কিংবা মালিকানার দাবি রয়েছে, তার ঘোষণা চাইতে হবে। না হলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না। ৮ ধারার স্বত্ত্ব প্রমাণসহ মামলা করার ক্ষেত্রে বেদখল হওয়ার পর থেকে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলাকে সাধারণত স্বত্ত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা বলা হয়।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই। শুধু জমি থেকে দখলচ্যুত হয়েছে এটি প্রমাণ করলেই চলবে। ৯ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেদখল হন, তবে তিনি বা তাঁর মাধ্যমে দাবিদার কোনো ব্যক্তি মোকদ্দমার মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলোবাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবী করেছেন, তিনি জমিটি দখল করে আসছিলেন কি না; বিবাদী তাঁকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কি না; বিবাদী বে আইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করেছেন কি না।
তবে বাদীকে অবশ্যই বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাতে হবে তাঁকে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এ ধারায় প্রতিকার চাওয়া যাবে না।
কোথায় ও কীভাবে আইনের আশ্রয় নেবেন জমিজমার মালিকানা নিয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এখতিয়ারাধীন আদালতে মামলা করতে হবে। মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকার কম হলে সহকারী জজ আদালতে এবং চার লাখের বেশি হলে অসীম এখতিয়ার পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ আদালতে প্রতিকার চাইতে হবে। মামলা দায়ের করতে হবে আইনজীবীর মাধ্যমে। মালিকানাসহ দখলের প্রতিকার চাইলে জমির মূল্য বাবদ অ্যাড-ভ্যালোরেম (মূল্যানুপাতে) কোর্ট ফি দিতে হবে। ৯ ধারা অনুযায়ী শুধু দখলের জন্য প্রতিকার চাইলে সম্পত্তির মূল্য অনুসারে যে কোর্ট ফি তার অর্ধেক, অর্থাৎ অ্যাড-ভ্যালোরেম কোর্ট ফির অর্ধেক পরিমাণ কোর্ট ফি দিতে হবে। জমির মালিকানাসহ দখল কিংবা শুধু দখল চেয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে যদি বাদী মনে করেন, তাঁর জমিটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাহলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন পৃথক আবেদনের মাধ্যমে।
জমি কেনার সময় ক্রেতাদের যা করণীয়
প্রত্যেকের জীবনেই জমি কিনে বাড়ি করার একটা স্বপ্ন থাকে। তবে জমি কেনার সময় কয়েকটা ব্যাপারে ক্রেতাদের সজাগ থাকতে হবে, যাতে পরবর্তীকালে কোন ঝামেলাতে না জড়িয়ে পড়তে হয়।
ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানোর আগে জেনে নিতে হবে, যে জমিটা কেনা হচ্ছে তার কোন আইনি সমস্যা আছে কিনা।
ক্রেতা যার থেকে কিনছে সে ওই জমিটা বিক্রি করতে পারবে কিনা? সেরকম হলে উকিলের পরামর্শ নিতে হবে, রেজিস্ট্রি করার আগে দেখে নিতে হবে জমিটা এক না অংশীদারি মালিকানার অন্তর্গত।
জমি রেজিস্ট্রেসনের সময় ভুললে চলবে না যে জমিটা কেনা হচ্ছে সেটা কোন বড় সমিতি, বড় কন্সট্রাকশন, বা সরকারি জমির আওতার অন্তর্গত কি না? সেটা মুচলেকাতে লিখিয়ে নিতে হবে ।
জমির টাকা হস্তান্তর করার আগে দেখে নিতে হবে জমিটার মালিক জমির সমস্ত ট্যাক্স, ও অন্যান্য বিল মিটিয়েছে কিনা। সরকারি দপ্তর বা মিনিউসিপালিটিতে খোঁজ নিয়ে তা জেনে নিতে হবে ।
অনেক সময় দেখা যায়, জমির মালিক জমিটা মরডগেজ দিয়ে লোন নিয়েছে। কাজেই জমি রেজিস্ট্রেসনের আগে এটাও দেখার বিষয় যে জমির মালিকের লোনের টাকা পরিশোধ হয়েছে কিনা?
জমি রেজিস্ট্রেসনের আগে দেখে নিতে হবে যে, যে পরিমাণ জমির টাকা দেওয়া হচ্ছে সেই পরিমাপের জমি ক্রেতা পাচ্ছে কিনা? দরকার হলে জমিটি সরকারি কর্মচারী দিয়ে মেপে নিতে হবে ।
আগের সমস্ত অর্থনৈতিক ও আইনি নথি ঠিক থাকলে, একটা চুক্তিনামা করিয়ে নিতে হবে, যাতে ওই জমির মালিক পরে জমির দাম বৃদ্ধি, বা অন্য কোন ক্রেতাকে বেশি মূল্যে জমিটি বিক্রি না করতে পারে ।
একটি ৫০টাকার সরকারি চুক্তিপত্র কিনে তাতে জমিটির মূল্য, আগাম দেওয়া টাকার পরিমান, সময় সবকিছু লিখে নিতে হবে, যাতে কোন পক্ষই আইনি জটিলাতায় না পরে । খুব ভাল হয় যদি এই কাজটি করার সময় দু’পক্ষের উকিল ও দু’জন সাক্ষী থাকে। পাকেচক্রে কোন পক্ষ সমস্যার সম্মুখীন হলে যাতে অপর পক্ষের বিরূদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রেজিস্ট্রি হল জমির হস্তান্তারের দুপক্ষেরই প্রমাণ পত্র ।
অভয় দিয়ে বলা জেতে পারে উপরিউক্ত বিষয়গুলির ওপর দৃষ্টিপাত করে জমি কিনলে জমির পেছনে টাকা বিনিয়োগ স্বার্থক হবে, ও আইনি কোন সমস্যার মুখেও পরতে হবে না।
জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ও রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম
ভূমি হস্তান্তরের দলিল স্ট্যাম্পের উপর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত নির্দিষ্ট ফরমেট বা ছক অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। এই ছকে ক্রেতা-বিক্রেতার ছবি সংযোজনের নতুন বিধান রাখা হয়েছে।
তামাদি হওয়ার সময় সীমা
তামাদি হওয়ার সময়-সীমা তিন বছর থেকে এক বছর করা হয়েছে। দলিল তৈরী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময়
দলিল তৈরী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মৌখিক দান বা হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন।
মুসলিম পারিবারিক ধর্মীয় আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি মৌখিক দান বা হেবা দলিলো এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই দলিল হবে ঘোষণামূলক। এর জন্য ফি হবে মাত্র ১০০=(একশত) টাকা।
হেবা বা দান কে কাকে করতে পারে: হেবার ক্ষেত্রে শুধু রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় তথা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে, পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে, ভাই-ভাই, বোন-বোন অথবা ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী থেকে নাতি-নাতনী ও নাতি-নাতনী থেকে নানা-নানী সম্পর্কের মধ্যে হেবা দলিলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এই নাম মাত্র ১০০ (একশত) টাকা ফিতে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন: উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে ওয়ারিশগণের মধ্যে সম্পত্তি বন্টন না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্টেশন করার প্রয়োজন নেই।
সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন: সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি হবে ২০০ (দুইশত) টাকা থেকে ৫০০০(পাঁচ হাজার) টাকা। আগে যা ছিল ৫০০(পাঁচশত) টাকা থেকে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা। এর ফলে বন্ধকি সম্পত্তি কেহ অন্যত্র বিক্রয় করে প্রতারণা বা জালিয়াতির আর কোন সুযোগ পাবে না।
আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রক্রয় সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন: আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্র ক্রয় দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বায়না চুক্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফি: এখন থেকে বায়না চুক্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বায়নার ক্ষেত্রে ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকার অধিক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা। ৫০ লক্ষ টাকার অধিকমূল্য সম্পত্তির জন্য ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। বায়না নামা রেজিস্ট্রেশন করা ছাড়া চুক্তি বলবৎ করতে আইনগত কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না। আবার বায়নার অবশিষ্ট টাকা জমা না করা হলে কোন মামলা মোকদ্দমা করা যাবে না। সম্পত্তি বিক্রয়ের বায়নানামা চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ১লা জুলাই ২০০৫ থেকে এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে যেসব বায়না হয়েছে কিন্তু এখনও রেজিস্ট্রেশন হয় নাই সেগুলো ১ জানুয়ারি ২০০৬ এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবার বায়নানামা রেজিস্ট্রেশন না করা এসব চুক্তি কার্যকর বা বাতিল করতে হলে রেজিস্ট্রশনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ৬ মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল ৩ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিঃ দ্রঃ ভবিষ্যতে মামলা মোকদ্দমা থেকে পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্বে পুরুষদের আপসে সম্পত্তি বন্টনের দলিল রেজিস্ট্রেশন বার্ধমূলক করার ফলে ওয়ারিশদের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। মাত্র ২০-(বিশ) টাকা মূল্যের স্ট্রাম্পে দলিল করে তা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং সর্বোচ্চ অংশ প্রাপ্ত অংশীদারের সম্পত্তির হিসাব থেকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণের অংশীদারদের ভগে পাওয়া সম্পত্তির মূল্য মানের শতকরা আড়াই ভাগ টাকা সব অংশীদারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ড (বাংলাদেশ) কর্তৃক প্রণীত বানানরীতি সমূহঃ
ফেসবুকে , ব্লগে ও যে কোন প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ বাংলা লিখতে অনেক কাজে আসবে ...
নোটঃ --" যদি কোন বন্ধুর এত বড় পোস্ট পড়ার ধর্য্য না থাকে অথাবা ব্যস্ততার জন্য পড়তে না পারেন ... তাহলে শেয়ার করে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে পোস্টের লিংক সেইভ রাখুন সময় পেলে একটু একটু করে পড়ে নিবেন ...কারন এখানের কিছু কথা বা শিক্ষা আপনার লাইফে অবশ্যই কাজে লাগবে ...।"

[জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন কমিটির রিপোর্টে (১ম খণ্ড, ১৯৭৬, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) বর্ণিত সুপারিশের (অনুচ্ছে ২.২.৫ পাঠ্যপুস্তকের ভাষা ও বানান রীতি ৩৪ পৃঃ) পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক স্তরের বাংলা পাঠ্যপুস্তককে অনুসরণের জন্য বানান রীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ড বিগত ১৭.৬.৮৪ তারিখে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। বিশেষজ্ঞ কমিটি ২২.৮.৮৪ তারিখে তাঁদের সুপারিশ পেশ করেন। নিম্নে সুপারিশসমূহ এবং অনুসৃতব্য বানানরীতির কিছু উদাহরণ মুদ্রিত হলো।]

পাঠ্যপুস্তকের বানানের জন্য বিশেষভাবে নিম্নলিখিত অভিধানসমূহ অনুসরণ করা হবে :

(ক) বাংলাদেশের ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (স্বরবর্ণ) সম্পাদক- ডঃ মুহম্মদ এনামুল হক।
(খ) ব্যবহারিক শব্দকোষ : কাজী আবদুল ওদুদ
(গ) চলন্তিকা : রাজশেখর বসু
(ঘ) সংসদ বাংলা অভিধান : শৈলেন্দ্র বিশ্বাস।
(ঙ) পারস্যে আরাবিক এলিমেন্টস ইন বেঙ্গলি-ডঃ গোলাম মকসুদ হিলালী

উপরে উল্লিখত অভিধানসমূহে ব্যবহৃত শব্দের প্রথম বানানটি গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট অনুসারে সুপারিশকৃত বানান রীতিও সফল হয় নি। তাই ১৯৮৮ সালে পাঠপুস্তক বোর্ড জাতীয় কর্মশিবিরের আয়োজন করে। এই কর্মশিবিরে অংশগ্রহণ করে বিশিষ্ট ভাষা-বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, সাংবাদিক, শিক্ষা-প্রশাসক, শিক্ষাক্রম-বিশেষজ্ঞ, বাংলা একাডেমী, বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ, ইসলামী ফাউন্ডেশান ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা। এই কমিটি তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরর বানানরীতির অক্ষুণ্ণ রেখে অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ধ্বনি বৈশিষ্ট্য অনুসারে বানান রীতি প্রণয়ন করেন। পরে কর্মশিবিরের সুপারিশ অনুসারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অভিন্ন বানানরীতির অনুসরণে পাঠ্য বইয়ের বানান নামে একটি পুস্তক প্রকাশ করেন। ড. আনিসুজ্জামানের সম্পাদনায় এই বইটি প্রণয়ন করেছিলেন হায়াৎ মামুদ। নিচে এই সুপারিশ তুলে ধরা হলো।

০১. রেফের পর কোথাও ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন-কর্ম, কার্য, শর্ত, সূর্য।
০২. সন্ধিতে প্রথম পদের শেষে ম্‌থাকলে ক-বর্গের পূর্বে ম্ স্থানে ং লেখা হবে। যেমন : অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত। অন্যান্য ক্ষেত্রে ক, খ, গ, ঘ এবং ক্ষ-র পূর্বে নাসিক্যবর্ণ যুক্ত করার জন্য সর্বত্র ঙ্ লেখা হবে। যেমন-অঙ্ক, আকাঙ্ক্ষা, সঙ্গে ইত্যাদি। প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে অনুস্বার ব্যবহৃত হবে। যেমন : রং। তবে শব্দে অব্যয় বা বিভক্তিযুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরবর্ণ থাকলে ঙ হবে। যেমন- বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের।
০৩. হস্‌চিহ্ন ও ঊর্ধ্বকমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন- করব, চট, দুজন।
০৪. যে শব্দের বানানে হ্রস্ব ও দীর্ঘ উভয় স্বর অভিধানসিদ্ধ, সেক্ষেত্রে এবং অ-তৎসম ও বিদেশী শব্দের বানানে শুধু হ্রস্ব স্বর প্রযুক্ত হবে। যেমন- পাখি, বাড়ি, হাতি।
০৫. ক্ষ-বিশিষ্ট সকল শব্দে ক্ষ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন-অক্ষয়, ক্ষেত, পক্ষ।
০৬. কয়েকটি স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হবে। যেমন-গাভী, রানী, হরিণী; কিঙ্করী, পিশাচী, মানবী।
০৭. ভাষা ও জাতির নামের শেষে ই-কার থাকবে। যেমন-ইংরেজি, জাপানি, বাঙালি।
০৮. বিশেষণবাচক ‘আলি’-প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন- সোনালি, রূপালি, বর্ণালি।
০৯. পদাশ্রিত নির্দেশক ‘টি’-তে ই-কার হবে। যেমন-লোকটি।
১০. অর্থভেদ বোঝাবার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হ্রস্ব ও দীর্ঘস্বর ব্যবহার করা হবে। যেমন- কি (অব্যয়), কী (সর্বনাম); তৈরি (ক্রিয়া), তৈরী (বিশেষণ), নিচ (নিম্ন অর্থে), নীচ (হীন অর্থে); কুল (বংশ অর্থে), কূল (তীর অর্থে)।
১১. বাংলায় প্রচলিত কৃতঋণ বিদেশী শব্দ বাংলা ভাষার ধ্বনিপদ্ধতিতে লিখিত হবে। যেমন-কাগজ, জাহাজ, হাসপাতাল ইত্যাদি। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হবে। যেমন-
(ক) ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত নিম্নলিখিত শব্দের আরবি (যোয়াদ) ও (যাল)-এর জন্য (ইংরেজি z ধ্বনির মত) ব্যবহৃত হবে। যেমন- আযান, এযিন, ওযু, কাযা, নামায, মুয়াযযিন, যাকাত, যিকির, যোহর, রমযান, হযরত।
(খ) অনুরূপ শব্দে আরবি (সোয়াদ) ও (সিন)-এর জন্য স এবং (শিন)-এর জন্য শ হবে। যেমন- সালাম, মসজিদ, সালাত, এশা।
(গ) ইংরেজি এবং ইংরেজির মাধ্যমে আগত s ধ্বনির জন্য স ও sh, -sion, -ssion, -tion প্রভৃতি ধ্বনির জন্য শ এবং st ধ্বনির জন্য ‘স্ট’ যুক্তবর্ণ লেখা হবে।
(ঘ) ইংরেজি বক্র a ধ্বনির জন্য শব্দের প্রারম্ভে এ অপরিহার্য। যেমন-এলকোহল, এসিড।
(ঙ) Christ ও Christian শব্দের বাংলা রূপ হবে খ্রিস্ট ও খ্রিস্টান। এ নিয়মে খ্রিস্টান হবে।
১২. পূর্ববর্তী নিয়মের (ক) থেকে (ঘ) পর্যন্ত বর্ণিত বিধি ব্যাতিক্রম বলে গণ্য হবে। তাছাড়া সংস্কৃত শব্দ ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে ণত্ব বিধি অনুসরণ করা হবে না। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, নাসিক্যধ্বনি যুক্ত করার জন্য চ- বর্গের পূর্বে কেবল ঞ (যেমন : অঞ্চল, অঞ্জলি, বাঞ্ছা), ট-বর্গের পূর্বে কেবল ণ (যেমন : কাণ্ড, ঘণ্টা) এবং ত-বর্গের পূর্বে কেবল ন (যেমন : তন্তু, পান্থ) লেখা হবে। অনুরূপভাবে, শিসধ্বনি যুক্ত করার জন্য চ-বর্গের অঘোষধ্বনির পূর্বে কেবল শ (যেমন : নিশ্চয়, নিশ্ছদ্র), ট-বর্গের অঘোষধ্বনির পূর্বে কেবল ষ (যেমন : কষ্ট, কাষ্ঠ), এবং ত বর্গের অঘোষধ্বনির পূর্বে কেবল স (যেমন : অস্ত্র, আস্থা) ব্যবহৃত হবে।
১৩. পদান্তে বিসর্গ থাকবে না। যেমন-ক্রমশ, প্রধানত, মূলত।

১৪. ক্রিয়াপদের বানানে পদান্তে ও-কার অপরিহার্য নয়। যেমন-করব, হল ইত্যাদি। এত, মত, কোনো প্রভৃতি শব্দে ও-কার আবশ্যক নয়। তবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় ও-কার রাখা যাবে। যেমন- করো, কোরো, বলো, বোলো।
১৫. ব্যঞ্জনবর্ণের ঊ-কার (ূ), ও ঋ-কারের (ৃ) একাধিক রূপ পরিহার করে এই কারগুলো বর্ণের নিচে যুক্ত করা হবে। যেমন- শুভ, রূপ, হৃদয়।
১৬. যুক্তব্যঞ্জন স্বচ্ছ করার জন্য প্রথম বর্ণের ক্ষুদ্রাকারে এবং দ্বিতীয় বর্ণের পূর্ণরূপে লিখতে হবে। যেমন- অঙ্ক, সঙ্গে, স্পষ্ট।
১৭. যেসব যুক্তব্যঞ্জন বাংলা উচ্চারণে নতুন ধ্বনি গ্রহণ করে-যেমন : ক্ষ (ক্ +ষ), জ্ঞ (জ্ +ঞ), হ্ম বা হম (হ্ +ম) সেগুলোর রূপ অক্ষ্ণ্ণ থাকবে। তাছাড়া নন্দনতাত্ত্বিক বিচারে ঞ্চ (ঞ্ +চ), ঞ্ছ (ঞ্ +ছ), ঞ্জ (ঞ্ +জ), ট্ট (ট্ +ট), ট্র (ট্ +র), ত্ত (ত্ +ত), ত্থ (ত্ +থ), ত্র (ত্ +র), ভ্র (ভ্ +র), হ্ন (হ্ +ন), ষ্ণ (ষ +ণ) ইত্যাদি যুক্তবর্ণের প্রচলিত রূপও অক্ষুণ্ণ রাখা হবে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তব্যঞ্জন গঠনের রূপ ব্যাখ্যা করা হবে।
১৮. সমাস পদ এক সাথে লিখিত হবে। যেমন- জটিলমূলক, বিজ্ঞানসম্মত সংবাদপত্র। অর্থগতভাবে একক হলেও তা একসঙ্গে লেখা হবে। যেমন- ষোলকলা। প্রয়োজনবোধে শব্দের মাঝখানে হাইফেন দেয়া যেতে পারে। যেমন- কিছু-না-কিছু, লজ্জা-শরম, সঙ্গত-পাঠ-নির্ধারণ ইত্যাদি।
১৯. বিশেষণবাচক পদ (গুণ, সংখ্যা বা দূরত্ব ইত্যাদি-বাচক) হলে সেটি আলাদা বসবে। যেমন- এক জন, কত দূর, সুন্দর ছেলে ইত্যাদি।
২০. নঞর্থক শব্দ পৃথকভাবে বসবে। যেমন-ভয়ে নয়, হয় না, আসে নি, হাতে নেই।
২১. হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর নামের পরে প্রথম বন্ধনীর মধ্যে (স), অন্য নবী ও রসূলের নামের পরে বন্ধনীর মধ্যে (আ), সাহাবীদের নামের পরে (রা) এবং বিশিষ্ট মুসলিম ধার্মিক ব্যক্তির নামের পরে (র) লিখতে হবে।
২২. লেখক ও কবি নিজেদের নামের বানান যেভাবে লেখেন বা লিখতেন, সেভাবে লেখা হবে।
২৩. বাংলাদেশের টাকার প্রতীকচিহ্নের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অঙ্কের বইতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য বইতে তার মূল্য-নির্দেশক সংখ্যার পূর্বে টাকার চিহ্নটি ব্যবহার করা হবে।
২৪. পূর্ববর্ণিত নিয়মাবলীর বহির্ভূত শব্দের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত অভিধানগুলোতে প্রদত্ত প্রথম বানান গ্রহণ করা যেতে পারে।
চলন্তিকা : রাজশেখর বসু। ব্যবহারিক শব্দকোষ : কাজী আবদুল ওদুদ। বাঙ্গালা ভাষার অভিধান, দুখণ্ড : জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। বাঙ্‌লা সাহিত্যে আরবি-ফারসি শব্দ-সংকলন: হরেন্দ্রচন্দ্র পাল। পারস্যে-এরাবিক এলিমেন্টস ইন বেঙ্গলি: গোলাম মকসুদ হিলালী।

এরপর ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমী বাংলা বানান রীতিকে প্রমিত করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন, ড. আনিসুজ্জামান এবং সদস্য-সচিব ছিলেন বশীর আলহেলাল। এছাড়া সদস্য হিসাবে ছিলেন- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জামিল চৌধুরী ও নরেন বিশ্বাস। এই কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সুপারিশমালা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান রীতিকেও বিবেচনা করেছিল।


শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

প্রশ্ন: সেলসিয়াস স্কেলে মানব দেহের
স্বাভাবিক উষ্ণতা কত ?
উ: ৩৬.৯ ডিগ্রী
প্রশ্ন: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের
উপর প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে বায়ুর চাপ কত ?
উ: ১৫ পাউন্ড
প্রশ্ন: সিস্টোলিক চাপ বলতে কী বুজায় ?
উ: হৃদপিন্ডের সংকোচন চাপ
প্রশ্ন: ডায়োস্টোল চাপ বলতে কী বুঝায় ?
উ: হৃদপিন্ডের প্রসারণ
প্রশ্ন: রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে কোথায় ?
উ: লোহিত রক্তকনিকায়
প্রশ্ন: রক্তের লোহিত রক্ত কনিকা তৈরী
হয় ?
উ: অস্থিমজ্জায়
প্রশ্ন: মানব দেহে মোট কশেরুকার সংখ্যা
কতো ?
উ: ৩৩ টি
প্রশ্ন: মানুষের মুখে কর্তন দাতের সংখ্যা
কতো ?
উ: 20 টি
প্রশ্ন: রক্ত কতো প্রকার ?
উ: ৩ প্রকার
প্রশ্ন: হিমোগ্লোবিনের কাজ কী ?
উ: অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড বহন
করা
প্রশ্ন: পালমোনারী (ফুসফুসীয়) শিরা কী বহন
করে ?
উ: অক্সিজেন বাহী রক্ত
প্রশ্ন: মানব দেহের হৃত্পিণ্ড কতো প্রকোষ্ট
বিশিষ্ট ?
উ: চার প্রকোষ্ট বিশিষ্ট
প্রশ্ন: লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কতো
দিন ?
উ: ৫ -৬ দিন
প্রশ্ন: অনুচক্রিকার গড় আয়ু কতো দিন ?
উ: ১০ দিন
প্রশ্ন: রক্ত শুন্যতা বলতে বুঝায় ?
উ: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে
যাওয়া
প্রশ্ন: রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন কে ?
উ: ল্যান্ড ষ্টিনার
প্রশ্ন: বিলিরুবিন কোথায় তৈরী হয় ?
উ: যকৃত
প্রশ্ন: বক্ষ গহ্বর ও উদর পৃথক রাখে কে ?
উ:ডায়াফ্রাম
প্রশ্ন: কিডনীর কার্যকরী একক কী ?
উ: নেফরন
প্রশ্ন: মুত্রের ঝাঝালো গন্ধের দায়ী
পদার্থের নাম কী ?
উ: এমোনিয়া
প্রশ্ন: মুত্র হলুদ দেখায় কেন ?
উঃ বিলিরুবিনের জন্য
প্রশ্ন: অ্যামাইনো অ্যাসিড ইউরিয়ায় পরিনত
হয় কোথায় ?
উ: যকৃত এ
প্রশ্ন: মানব দেহে রাসায়নিক দূত হিসাবে
কাজ করে কী ?
উ: হরমোন
প্রশ্ন: ডায়াবেটিস রোগ হয় কোন প্রাণরসের
অভাবে ?
উ: ইনসুলিন
প্রশ্ন: পিত্ত রস অগ্নাশয় রসের সাথে মিলিত
হয় কোথায় ?
উ: ডিওডেনাম
প্রশ্ন: মানব দেহে বৃহতম গ্রন্থি কোনটি ?
উ: যকৃত
প্রশ্ন: চোখের জল নিঃসৃত হয় কোথা থেকে ?
উ: লেকরিমাল গ্রন্থি থেকে
প্রশ্ন: নার্ভের মাধ্যমে প্রবাহিত আবেগের
গতি প্রতি সেকেন্ডে কত মিটার ?
উ: ১২৫ মিটার
প্রশ্ন: একজন সুস্থ মানুষের একটি হৃদ কম্পন
সম্পূর্ণ হতে কত সময় লাগে ?
উঃ ০.৪ সেকেন্ড
প্রশ্ন: শরীর থেকে বর্জ পদার্থ ইউরিয়া বের
করে দেয় কোন অঙ্গ ?
উঃ কিডনি
প্রশ্ন: একজন স্ত্রী লোক জননকালে প্রতি
মাসে কয়টি ডিম্ব উত্পাদন করে ?
উ: ১ টি

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

Articles
Articles

A, an এবং the কে Article বলে।

Article দুই প্রকার।

Indefinite Article and
Definite Article.
Indefinite Article:

A এবং an কে Indefinite Article বলে কারন তারা কোন অনির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুকে বুঝায়। সচরাচর singular countable noun এর পূর্বে A অথবা an বসে।

Example - He has a pen.
- I bought a book.
- This is an elephant.
- He took an apple.

Definite Article

The কে definite Article বলে কারন ইহা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুকে বুঝায়।

Example -I saw the bird.
- I read the book.
- Dhaka is the capital of Bangladesh.

Use of A and An

1. সাধারণত consonant এর পূর্বে a এবং vowel (a, e, i, o, u) এর পূর্বে an বসে।
যেমন – a hen, a book, a pen, an apple, an egg, an orange.

2. শব্দের শুরুতে যদি h থাকে এবং h এর উচ্চারণ h এর মত হলে তার পূর্বে a বসে। কিন্তু হ এর উচ্চারণ o বা অন্য কোন উচ্চারণ হলে তার পূর্বে an বসে।
যেমন- a horse, a historian, an honest man, an hour.

3. শব্দের শুরুতে যদি Vowel থাকে এবং তার উচ্চারণ যদি u এর মত হয় তাহলে তার পূর্বে a বসে।
যেমন- a ewe, a European, a uniform, a university, a useful metal.

4. O দিয়ে গঠিত শব্দের পূর্বে an বসে। শুধুমাত্র one শব্দের পূর্বে a বসে।
যেমন- an open field, an open heart surgery, an opera, an orange, a one taka note, a one eyed man.

5. সংক্ষিপ্ত রূপ অর্থাৎ abbreviation এর প্রথম অক্ষর vowel এর মত উচ্চারিত হলে তার পূর্বে an বসে। কিন্তু abbreviation এর প্রথম অক্ষর consonant এর মত উচ্চারিত হলে তার পূর্বে a বসে।
যেমন- an M.B.B.S, an F.C.P.S, an M.A, a B.A, a B.SC.

Other uses of A and An

1. এক জাতীয় সকল singular common noun এর পূর্বে a/an বসে।
যেমন- A tiger is a dangerous animal; An ant is an industrious insect.

2. একজন ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝালে তার পূর্বে a/an বসে।
যেমন- He bought an orange, He lives in a tiny room.

3. সমজাতীয় কিছু(the same, the certain) ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করতে singular common noun এর পূর্বে a/an বসে।
যেমন
- Birds of a feather flock together.
- Criminals are of a (the same) character.
- There lived a farmer.
4. Preposition অর্থে কখনো কখনো a ব্যবহৃত হয়। এরূপ a কে disguised preposition বলে।
যেমন- He went a (on) fishing, She went a (on) shopping.

5. Few, little, good many, lot of, great many, good deal ইত্যাদি plural noun এর পূর্বে a /an বসে। মাঝে মাঝে many এর পরে a /an বসে।
Example
- I have a few friends here.
- The library has a lot of books.
- The rich man has a good deal with money
- Many a man was present in the meeting.

6. সংখ্যাবাচক শব্দ- dozen, hundred, thousand, million, couple, score ইত্যাদির পূর্বে a বসে।

7. Exclamation অর্থাৎ what, how, why ইত্যাদির পরে a বসে।
- What a beautiful lady!
- How nice a bird!

8. Singular common noun – quite, many, rather, but, more এর পূর্বে a/an বসে।
- He is rather a gentleman.
- You are but a child.

9. Mr./Mrs./Miss এর পূর্বে a/an বসে।
- A Mr. Ashik called in his house.
- A Mrs. Habiba sought his help.

Articles (Use and Omission):

Omission of a/an:

1. খাবারের (meals) পূর্বে a/an বসে না। তবে খাবারের (meals) পূর্বে adjective বসলে a/an বসে.

Incorrect- We have a dinner at 8.00 pm.
Correct- We have dinner at 8.00 pm.

Incorrect- We had good breakfast yesterday.
Correct- We had a good breakfast yesterday.

2. Plural noun এর পূর্বে a/an বসে না।
- Birds are beautiful.
- Cows are useful.

3. Uncountable noun হিসেবে গণ্য যেমন – advice, information, news, baggage, water, milk, oil, tea, paper ইত্যাদি এর পূর্বে a/an বসে না।
- He gave me some information.
- We take tea.
- He drinks water.

তবে পরিমাপ করা যায় এমন কিছু measure words থাকলে তার পূর্বে a/an বসে।
যেমন – Give me a glass of water.

Use of definite article:

নির্দিষ্ট করে বুঝায় এমন common noun এর singular ও plural উভয় number এর পূর্বে the বসে।
- The boy is reading.
- The girl is singing.
এক জাতীয় সকলকে বুঝাতে singular common noun এর পূর্বে the বসে।
- The cow gives us milk.
- The rose is beautiful flower.
মানবজাতি man and women এর পূর্বে the বসে না।
Incorrect – The man is mortal.
Correct - Man is mortal.
নদী, সাগর, উপসাগর, পর্বতশ্রেণী, দীপপুঞ্জ, জাহাজ ইত্যাদি নামের পূর্বে the বসে।
যেমন – The Andamans, The Himalayas, The Titanic.
ধর্মগ্রন্থ ও পত্রিকার নামের পূর্বে the বসে।
যেমন – The holy Quran, The Daily sun.
একক বস্তু – পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিন ইত্যাদি নামের পূর্বে the বসে।
The sun, The earth, The moon.
বর্ণনামূলক বা অর্থপূর্ণ নামের পূর্বে the বসে।
- The U.S.A, the panjab.
তারিখের নামের পূর্বে the বসে।
যেমন - The 10th March.
জাতি ও সম্প্রদায়ের নামের পূর্বে the বসে।
যেমন – The rich, The poor, The Muslims.
Superlative degree তে adjective এর পূর্বে the বসে।
যেমন – He is the best boy in the class.
Material noun এর পূর্বে the বসে না। তবে নির্দিষ্ট স্থানের বা প্রকারের বুঝালে the বসে।
যেমন – The Diamond of Africa is famous.
Proper noun এর পূর্বে adjective থাকলে তার পূর্বে the বসে।
যেমন – The great Akbar was a mighty ruler.
বংশ বা পরিবারের পরিচয়জ্ঞাপক নাম plural হলে তার পূর্বে the বসে।
যেমন – The khans, The Pathans.
সংখ্যা প্রকাশক word যদি unit অর্থে বসে তাহলে তার পূর্বে the বসে।
যেমন – Eggs are sold by the dozens.
Musical instrument এর পূর্বে the বসে।
যেমন – I can’t play the Guitar. The cowboy can play the flute well.
কোন কোন যন্ত্র এবং আবিস্কারের পূর্বে the বসে।
যেমন – Markoni invented the radio. The bicycles is an easy means of transport.
Singular designation এর পূর্বে the বসে।
যেমন – The president, The Prime Minister, The headmaster.
Omission of definite article:

বিখ্যাত গ্রন্থের লেখকের নাম গ্রন্থের পূর্বে থাকলে the বসে না। কিন্তু লেখকের নাম পূর্বে না থাকলে the বসে।
যেমন – The Gitanjoli of Robindranath.
রাস্তা, এভিনু, স্কয়ার, পার্কের নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – He is going to park.
ভাষার নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – Bengali is our mother lsnguge. English is an international language.
কিন্তু ভাষার নামের পরে language শব্দ টা উল্লেখ থাকলে the বসে।
যেমন – The English language is an international language.
হ্রদের নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – Lake Superior, Lake Baikal, Lake Caspian.
দিন বা মাসের নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – Friday is holyday.
রোগের নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – Fever has broken out in the home.
Allah or God এর নামের পূর্বে the বসে না।
যেমন – Allah has created us.
শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ এবং পোশাক- পরিচ্ছেদ ইত্যাদির পূর্বে the বসে না।
যেমন – Raise your right hand. Put off your shirt.
ভ্রমন সম্পর্কিত যানবাহন বা ভ্রমন পথের পূর্বে the বসে না।
যেমন – by bus, by train, by launch.

শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬

জমি ক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশন
জমি ক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় যেসব সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক
{১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইনের (সংশোধনী ২০০৫ মতে )}

এক খণ্ড জমির মালিক হওয়া প্রতিটি মানুষেরই মনের একটি অদম্য কামনা। কিন্তু এই অদম্য মনের বাসনা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ অনেক সময় এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে,কোনটি সঠিক কিংবা কোনটি ভুল তা বুঝে উঠতে পারে না।তারপরও জমি ক্রয়-বিক্রয়েদালাল,টাউট,বাটপার, প্রতারকদের প্রতারণা তো আছেই।বিশেষ করে শহর,উপশহর বা শহরের আশেপাশের এলাকার জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা সবচেয়ে বেশি।তাই বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিতে পড়ে জমি ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতারা প্রায়ই প্রবঞ্চিত হচ্ছে।সেই কারণে জমি ক্রয় কালে ক্রেতাদেরকে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা তুলে ধরা হলো।একে ক্রেতা সাবধান (Doctrine of Caveat Emptor)নীতিও বলা যেতে পারে।

জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাত্‍ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করে নিতে হবে। জমির তফসিল অর্থাত্‍ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ।

জমি ক্রয় করার পূর্বে উক্ত জমির সিএস রেকর্ড, এসএ রেকর্ড;আরএস রেকর্ড এবং মাঠ পর্চাগুলি ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

বিক্রেতা যদি জমিটির মালিক ক্রয় সূত্রে হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্রয়ের দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা সঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

জমির বিক্রেতা উত্তরাধিকারসূত্রে জমিটি পেয়ে থাকলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ানে তার নাম আছে কিনা তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।যদি সর্বশেষ খতিয়ানে বিক্রেতার নাম না থাকে তাহলে তিনি যার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে জমিটি পেয়েছেন তা মূল মালিকের সংঙ্গে বিক্রেতার নামের যোগসূত্র কিংবা রক্তের সম্পর্ক আছে কিনা বিষয়টি ভালোভাবে দেখতে হবে।

জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার নিকট রক্ষিত মাঠ পর্চা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।

উল্লেখ্য যে, যদি মাঠ পর্চার মন্তব্য কলামে কিছু লিখা থাকে যেমন (AD)তাহলে বুঝতে হবে উক্ত খতিয়ানের বিরুদ্ধে তসদিক বা সত্যায়ন বা শুদ্ধতা বা Attestation পর্যায়ে আপত্তি রয়েছে, সেক্ষেত্রে জমি ক্রয়ের আগে জরিপ অফিসে/ক্যাম্পে গিয়ে জমিটির সর্বশেষ অবস্থা জেনে নিতে হবে।

তবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রেতার শরিকদের সঙ্গে জমি বিক্রেতার সম্পত্তি ভাগাভাগির বণ্টন নামা বা ফারায়েজ দেখে নিতে হবে।

জমি বিক্রেতার নিকট থেকে সংগৃহীত দলিল, বায়না দলিল, খতিয়ান, মাঠ পর্চা ইত্যাদি কাগজ পত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে তলবকারী বা স্বত্বলিপি রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই করে নিতে হবে।

সর্বশেষ নামজারী মাঠ পর্চা, ডিসিআর, খাজনার দাখিলা বা রশিদ যাচাই করে দেখতে হবে। জমির খাজনা বকেয়া থাকলে এবং বকেয়া খাজনা সহ জমি ক্রয় করলে বকেয়া খাজনা পরিশোধের দায়- দায়িত্ব ক্রেতাকেই নিতে হবে।

ক্রেতা যে জমিটি ক্রয় করতে যাচ্ছে সেই জমিটি সার্টিফিকেট মকদ্দমা ভুক্ত কিনা, কিংবা জমিটি নিলাম হয়েছে কিনা তা তহসীল অফিস/উপজেলা ভূমি অফিস হতে জেনে নিতে হবে। তবে অবশ্যই ক্রেতাকে মনে রাখতে হবে যে ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা/দাবী আদায় আইনের ৭ ধারায় বলা আছে সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত সম্পত্তি বিক্রয় যোগ্য নয়।

বিবেচ্য জমিটি খাস, পরিত্যক্ত/অর্পিত, অধিগ্রহণকৃত বা অধিগ্রহণের জন্য নোটিশকৃত কিনা তা তহসিল অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিস বা জেলা প্রশাসক (ডি.সি অফিস) এর কার্যালয়ের L.A(এল.এ) শাখা থেকে জেনে নিতে হবে।

ক্রেতা যে জমিটি কিনতে যাচ্ছে সেই জমিটি নিয়ে কোনো আদালতে মামলা রুজু আছে কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। তবে মামলাভুক্ত কোনো জমি ক্রয় করা উচিত নয়।

বিক্রেতা তার জমির নকশা দেখিয়ে ক্রেতার নিকট জমি বিক্রয় করতে চাইতে পারে (যেমন বসুন্ধরা প্রকল্পের জমি নকশা/ছবির বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি হয়) সেক্ষেত্রে ক্রেতাকে উক্ত নকশার সাথে সঠিকভাবে মিল আছে কিনা বিক্রেতার দখল ও মালিকানা আছে কিনা তা সরেজমিনে গিয়ে দতন্ত করে আসতে হবে।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কিংবা জেলা রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে সর্বশেষ জমি কেনা বেচার তথ্য জেনে আসতে হবে।

যে জমিটি বিক্রি হতে যাচ্ছে সেই জমিটি ঋণের দায়ে ব্যাংকে দায়বদ্ধ কিনা সেই বিষয়টি খোঁজ নিতে হবে।

প্রস্তাবিত জমিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কিনা সেই বিষয়টিও সরেজমিনে তদন্ত করে জেনে নিয়ে জমি ক্রয় করতে হবে।

ক্রেতাকে সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো কিছু কিছু এলাকা রয়েছে সেই এলাকার জমি জমা সরকারিভাবে বিক্রয় নিষিদ্ধ কিন্তু দালাল টাউট, বাটপার বা প্রতারক চক্র সহজ সরল ক্রেতাকে ঐ নিষেধাজ্ঞার কথা গোপন করে তার কাছে জমি বিক্রয় করতে পারে সেদিকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। যেমন-ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার
(ক) আড়াইশ প্রসাদ
(খ) বন ঘরিয়া
(গ) বিশিয়া কুড়ি বাড়ি
(ঘ) বারই পাড়া
(ঙ) উত্তর সালনা
(চ) বাউপাড়া
(ছ) বাহাদুরপুর
(জ) মোহনা ভবানীপুর

উপরোক্ত মৌজা গুলিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি জমিতে শিল্প/কারখানা/পাকা ইমারত সহ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, কৃষি, দুগ্ধ ও মত্স খামার ইত্যাদি স্থাপন না করার জন্য

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২২/১১/১৯৯১ইং তারিখে পবম (শা-৩) ১৪/৯৪/ঌ৮৮ নং স্মারকে একটি পরিপত্র জারি করে।

সুতরাং উপরোক্ত মৌজাগুলির জমি কোনো ক্রেতা ক্রয় করলে সেই জমি ক্রয়টি অবৈধ হবে বা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়াও সরকার যদি কোনো এলাকার জমি যে কোন সময় ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করে তাহলে সেই এলাকার ক্রেতাকে জমি ক্রয় করতে সাবধান থাকতে হবে।

যে জমিটি ক্রেতা ক্রয় করতে যাচ্ছে সেই জমিটির ব্যাপারে পরবর্তীতে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের ওজর আপত্তি না সৃষ্টি হয় সে জন্য ক্রেতা কতৃর্ক অতি সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য ৩ টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লিগ্যাল নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যেতে পারে। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের জমি ক্রয় করতে লিগ্যাল নোটিশের প্রয়োজন হয় না কিন্তু শহর বা শহরের আশে পাশের এলাকার জমি ক্রয় করতে হলে ক্রেতাকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া ভালো.